মোঃ জয়নাল আবেদী টুক্কু, নাইক্ষ্যংছড়ি :
অবশেষে গতকাল ৩১ জানুয়ারী বুধবার সকালে বামহাতিরছড়ার অস্থায়ী ক্যাম্প থেকে ১৮৮ জন রোহিঙ্গা শেষ দফায় উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পে স্থানান্তর করায় নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ৩টি অস্থায়ী ক্যাম্প শূন্য। এর আগেরদিন এ ক্যাম্প থেকে স্থানান্তর করা হয়েছিল ১৭৬ জন রোহিঙ্গাকে। প্রক্রিয়াটি শুরু হয় ৪ জানুয়ারী বুধবার থেকে। স্থানান্তর প্রত্রিয়ার শুরু দিন নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের জিরো লাইনের সাপমারা ঝিরি খেকে ৩ শত জনের রোহিঙ্গার বহর নিয়ে প্রথম দফায় কুতুপালং এ স্থানান্তর করা হয়। এরপর বড়ছনখোলার অস্থায়ী একটি ক্যাম্প থেকে সেখানকার ৬ হাজার ৮শত ৮৪ জন রোহিঙ্গাকে কুতুপালং ক্যাম্পে স্থানান্তরের কাজ শেষ হয়েছিল পর্যাক্রমে। জাতিসংঘের ইউএনএইচসিআরের তত্বাবধানে এ স্থানান্তরের কাজটি সম্পন্ন করেছেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি।

রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সমন্বয়কারী নুরুল আবছার এ প্রতিবেদককে জানান,
নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে সব রোহিঙ্গা কুতুপালং স্থানান্তরের কাজ শেষ হয়েছে গতকাল বুধবার সকালে। ৪ জানুয়ারী শুরুকরে পর্যক্রমে এভাবে গত ২৬ দিনে কুতুপালং ক্যাম্পে স্থানান্তর করা হয় সাড়ে ৯ হাজার রোহিঙ্গাকে। তিনি আরো বলেন, নাইক্ষ্যংছড়ির ৩টি অস্থায়ী রোহিঙ্গা ক্যাম্প এখন শূন্য। তবে এখান থেকে রোহিঙ্গারা কুতুপালং স্থানান্তরিত হলেও এদের ফেলে যাওয়া ৫ শতাধিকেরও বেশি পোষা কুকুরের আত্মচিৎকারে বামহাতিরছড়া,সাপমারাঝিরি ও বড়ছন খোলার রোহিঙ্গা বিহীন শুন্য ক্যাম্প এলাকাগুলোর আকাশ বাতাস ভারী হয়ে যায়। মালিককে হারিয়ে প্রভুভক্ত কুকুরগুলো খাদ্য অভাবে মনাষিক যন্ত্রনায় ভুগছে।
উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মরত সদর ইউনিয়নের আমতলী গ্রামের রশিদ আহাম্মদ কুকুরগুলোকে না মেরে স্বদেশে ফেরৎ না যাওয়া পর্যন্ত রক্ষণা-বেক্ষণ ও ত্রাণ কর্যক্রমের আওতায় আনতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে লিখত আভিযোগ করেন।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম সরওয়ার কামাল জানান,এতো দিন রোহিঙ্গা ইস্যূ নিয়ে উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের নিজ দপ্তরের কাজ করতে অনেক সমস্য ছিল। এখন কাল বুধবার থেকে এটির ভার আর নেই।
তবে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের কোনারপাড়া সীমান্তের বিপরীতে মিয়ানমারে অভ্যন্তরে ক্যাম্প করে ৬ হাজার ২২জন রোহিঙ্গা এখনও অবস্থান করছে। যাদের বিষয়ে তার (নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা প্রশাসনের) তেমন কোন দায়িত্বও নেই। তাই তিনি এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি।